ঢাকা , শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​দ্য লোডস্টারের প্রতিবেদন

কন্টেইনারবাহী ১২টি জাহাজ কিনছে বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ১৮-০২-২০২৫ ০১:২৩:৩৩ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৮-০২-২০২৫ ০১:২৩:৩৩ অপরাহ্ন
কন্টেইনারবাহী ১২টি জাহাজ কিনছে বাংলাদেশ প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার কন্টেইনার ধারণক্ষমতার ১২টি সেলুলার বক্সশিপ বা কন্টেইনারবাহী জাহাজ কিনতে যাচ্ছে। জাহাজ ও অন্যান্য পরিবহন কেন্দ্রিক ইংল্যান্ডভিত্তিক সংবাদ প্ল্যাটফর্ম দ্য লোডস্টারের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই জাহাজগুলো কেনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আঞ্চলিক কন্টেইনার পরিবহন বাজারে প্রবেশ করবে। একই সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত বিএসসিকে প্রায় তিন দশক পর কনটেইনার শিপিং খাতে ফিরিয়ে আনবে। সূত্রমতে, বর্তমানে সংস্থাটি আটটি ওয়েট এবং ড্রাই বাল্ক জাহাজ পরিচালনা করছে এবং সর্বশেষ ১৯৯০—এর দশকে একটি কনটেইনারবাহী জাহাজ পরিচালনা করেছিল।

বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মাহমুদুল মালেক জানান, কনটেইনার জাহাজ কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সরকার—সরকার ঋণ চুক্তির আওতায় ছয়টি জাহাজ কেনা হবে। এই প্রকল্পে ব্যয় হবে প্রায় ৩১৩ মিলিয়ন ডলার। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড (ইডিসিএফ) অনুমোদন করলেই এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অব কোরিয়া বাংলাদেশকে ছয়টি জাহাজ কেনার জন্য ঋণ দেবে।’

মাহমুদুল মালেক আরও বলেন, ‘এই বিষয়টি এরই মধ্যে বাংলাদেশ ইডিসিএফের আওতায় এসেছে। এই বিষয়ে বিএসসি ইডিসিএফের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং এখন ঋণ প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই (ফিজিবিলিটি স্টাডি) পরিচালনা করছে। এই সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন হওয়ার পর তহবিল বরাদ্দের অনুমোদন দেওয়া হবে।’ কমোডর মালেক জানান, জাহাজগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার ‘দেই সান’ অথবা ‘হুন্দাই হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ’ এসব জাহাজ নির্মাণ করতে পারে।

তবে বাকি ছয়টি কনটেইনার জাহাজ কোথা থেকে বা কীভাবে কেনা হবে, সে সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। পাশাপাশি বিএসসি আরও দুটি বাল্ক জাহাজ কেনার পরিকল্পনা করছে এবং এর পাশাপাশি আরও দুটি বাল্ক জাহাজ ও দুটি ক্রুড ট্যাংকার কেনার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানির সম্মিলিত পরিমাণ ১৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। তবে গত বছরের শেষের দিকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সরবরাহ চেইনে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।

গত সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামে কনটেইনার জটের পরিমাণ ছিল ৫৭ দশমিক ৫ ছিল। মাত্র দুই সপ্তাহ আগেও এই জট ছিল অর্ধেক। ফলে জাহাজ থেকে মাল খালাসের গতি ধীর হয়ে গেছে। এই সাম্প্রতিক দেরির প্রধান কারণ হলো গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বন্দরের প্রধান মোটর ও ট্রেইলার অপারেটরদের কর্মবিরতি।

বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ